সখিপুর প্রতিনিধি:
শিরোপা ধরে রাখার জন্য শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে এক পয়েন্ট অর্থাৎ ড্র দরকার ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশের মেয়েরা জয়ের রথে চেপেই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ ২১ জুলাই ২০২৫খ্রি সোমবার সন্ধায় ৭ টায় রাজধানীর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ৪-০ গোলে নেপাল কে পরাজিত করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
সোমবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নেপালকে কোনো পাত্তাই দেয়নি লাল-সবুজের দল। ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে চারটি গোলই করেছেন সাগরিকা।
এর আগে নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে লালকার্ড পেয়ে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের এই নারী ফুটবলার। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরেই ঝলক দেখিয়েছেন গত আসরে সর্বাধিক গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা এই ফরোয়ার্ড।
রাজধানীর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ৭ মিনিটে পূজা দাসের পাস থেকে বল পেয়ে স্বপ্না বাড়িয়ে দেন সামনে। সেই বল ধরে ঢুকে পড়েন সাগরিকা। তারপর কোনাকুনি শটে গোল করেন। এর দুই মিনিট আগেই গোল পেতে পারতেন সাগরিকা। স্বপ্নার কর্নার থেকে তার ব্ল্যাকহেড গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন নেপালের ডিফেন্ডার আনিশা রাই।
১৯ মিনিটে গোলরক্ষক মিলির দারুণ সেভে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। কর্নারের কাছ থেকে থ্রোয়ে প্রথমে গোলে শট নেন নেপালের পূর্ণিমা রাই। এই ফরোয়ার্ডের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে বক্সের মধ্যেই। সেখান থেকে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোলে হেড নেন সুকরিয়া মিয়া। দারুণ ক্ষিপ্রতায় লাফিয়ে সেই বল ধরে ফেলেন মিলি। ম্যাচে ফেরার সুযোগ হাতছাড়া হয় নেপালের।
পরের মিনিটে আবার নেপালকে রক্ষা করেন আনিশা রাই। মুনকির শটে গড়িয়ে গড়িয়ে গোললাইন অতিক্রমের আগে ক্লিয়ার করেন আনিশা। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে বাংলাদেশ।
বিরতির পর দ্রুতই লিড দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। ৫১ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে পূজার পাসে ডান প্রান্তে বল পান উমেহলা। এই ফরোয়ার্ডের রক্ষণচেড়া পাসে বক্সের সামনে বল পান সাগরিকা। নেপালের অধিনায়ক বীরসেনাকে কাটিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষকের বাঁ পাস দিয়ে গোলে শট নেন ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড সাগরিকা।
গোলরক্ষক সুজাতা ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি, বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল খুজে নেয় জাল। ২-০ গোলে লিড বাড়ায় বাংলাদেশ। সাগরিকা করেন টুর্নামেন্টে নিজের ষষ্ঠ গোল।
৫৬ মিনিটে সাগরিকার হ্যাটট্রিকে লিড ৩-০ করে বাংলাদেশ। মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বলে নেপালের আনিশা রাইয়ের আগে দৌড়ে এগিয়ে যান সাগরিকা।
ড্রপ খাওয়া বলে চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে বল জড়ান সাগরিকা। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্টে তৃতীয় ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের দেখাও পেলেন বাংলাদেশের নাম্বার টেন।
সাগরিকা চতুর্থ গোল করেন ৭৭ মিনিটে। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে সাগরিকার পায়ে বল তুলে দেন মুনকি। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে একা পেয়ে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন সাগরিকা। যদিও সাগরিকার এই গোলে তার চেয়েও বেশি অবদান এই আসরে দারুণ খেলা মুনকির।
পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের চেয়ারম্যান তাবীদ আওয়াল।
টাঙ্গাইলের সখিপুরের মেয়ে রুপা আক্তার টুর্নামেন্টে এক গোল করেন। রুপার গ্রামের বাড়ি কীর্তন খোলা, ৯ নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন- গজারিয়া, উপজেলা- সখিপুর, জেলা-টাঙ্গাইল। রুপার বাবার নাম মো. রহিম খান, মাতার নাম- মোসাঃ আনোয়ারা। রুপারা তিন বোন এক ভাই। রুপা আক্তার দ্বিতীয়। রুপা আক্তারের বাবা পেশায় অটো ব্যান চালক, রুপার মা একজন গৃহিনী। রুপা আক্তার গত চারমাস পূর্বে জাতীয় নারী ফুটবল দলে যোগদান করেন। সখিপুরে এই প্রথম রুপাই জাতীয় নারী ফুটবল দলের প্রথম ফুটবলার।
Pos | Team | Pld | W | D | L | GF | GA | GD | Pts | Status |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
1 | ![]() |
6 | 6 | 0 | 0 | 31 | 4 | +27 | 18 | Champion |
2 | ![]() |
6 | 4 | 0 | 2 | 30 | 8 | +22 | 12 | |
3 | ![]() |
6 | 2 | 0 | 4 | 12 | 21 | −9 | 6 | |
4 | ![]() |
6 | 0 | 0 | 6 | 1 | 38 | −37 | 0 |
10 goals
8 goals
7 goals
4 goals
3 goals
2 goals
1 goal
Leave a Reply