কেএম শামীম
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
উত্তর টাঙ্গাইলের গোপালপুর ১৯৯৫সালে গোপালপুর পৌর সভার নিরিবিলি পরিবেশে গোপালপুর আভুম্বী গ্রামে প্রায় দু একর জমির উপর এই কলেজ টিনের ঘরে ২৫০ শত ছাত্রী নিয়ে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করেন, অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক সংসদ সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টূ। প্রথম ব্যাচ ১৯৯৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষাতে খুবই ভাল ফলাফলের কারনে পরবর্তী বছর ১৯৯৮ সালে কলেজ টি এমপিও ভূক্ত হয়।
গোপালপুর মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজ , খন্দকার আঃ মান্নান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, এবং সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠা করেন, বিশিষ্ট শিক্ষা বিদ অধ্যক্ষ খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল।
অএ এলাকায় ৫টি কলেজ ৭টি সিনিয়র মাদ্রাসা রয়েছে , নারী শিক্ষা প্রসারে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ শত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে সুনামে সহিত মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজের শিক্ষক /শিক্ষীকা/ কর্মচারী বৃন্দ নিরলস পরিশ্রম করে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
ফলাফলের দিক দিয়ে কলেজটির যথেষ্ট সুনাম রহিয়াছে।
২০১৬ সালে কলেজটি স্বীয় যোগ্যতার বলে সরকারি করনের তালিকা ভূক্ত হয় কিন্ত রাজনৈতিক শক্তির প্রভাবে তালিকা ভূক্ত থেকে বাদ দিয়ে তার স্হলে গোপালপুর কলেজ কে সরকারি করনের তালিকা ভূক্ত করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে, মানবিক,শাখায় পৌরনীতি,অর্থনীতি,সমাজ কর্ম,ইসলামের ইতিহাস, ইসলাম শিক্ষা, ইতিহাস যুক্তি বিদ্যা,গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, ভূগোল বিষয় রয়েছে। বিজ্ঞান শাখা,এবং ব্যবসা ব্যবস্থাপনা শাখা চালু রহিয়াছে। বি.এ. বিএসএস শাখা ২০০১- ২০০২ শিক্ষাবর্ষ হতে চালু রয়েছে ২০১০ সাল হতে, কম্পিউটার অপারেটর, মানব সম্পদ উদ্যোক্তা বিষয় নিয়ে কারিগরি শাখা সহ বাংলা, ব্যবস্থাপনা এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনার্স কোর্স চালু রয়েছে।
ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ, খন্দকার ওয়াদুূদ সাহেব গত বৃহস্পতিবার হিমালয়কে কে বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠানে ১২০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, কিন্তু তাহাদের প্রয়োজনের তুলনায়, ক্লাশ রুম,ওয়াশরুমের ঘাটতি রয়েছে।
গভনিংবডির সভাপতি , প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক অধ্যক্ষ খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ এই প্রতিষ্ঠান অবহেলার শিকার গত ১৭ বছরে এখানে উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনি, বরং ২০১৬, স্বীয় যোগ্যতায় সরকারি করনের তালিকা ভূক্ত হলে তাহা বাতিল করা হয়।
গোপাপুরে একমাএ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথচ, অবকাঠামো দিক দিয়ে খুবই দূর্বল অবস্থায় রহিয়াছে, অধিকাংশ অবকাঠামো প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব অর্থয়ানে নির্মিত তাও জরাজীর্ণ অবস্থায় রহিয়াছে। নেই পর্যাপ্ত ক্লাশ রুম,ওয়াশরুম, নেই শিক্ষক মিলনায়তন,এবং আসবাব পএ। তিনি আশা করেন
শিক্ষা প্রকোশলী অধিদপ্তর সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ২০২৫ – ২০২৬ অর্থ বছের আধুনিক বহুতল ভবন বরাদ্দের দাবী জানান।
যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠান উত্তর টাঙ্গাইলে সুনাম অর্জন করেছে বিশেষ করে গভনিংবডি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকা বাসী সকলে ধন্যবাদ জানান।
Leave a Reply