ভোটকেন্দ্রে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)
আজ বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, প্রথমে নানা অনিয়মের কারণে ৫১ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম পুরো নির্বাচনি এলাকায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধের । সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। সেখানে আর ভোট হচ্ছে না। ভোটের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে। আইন পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভোট শুরুর একঘন্টা পর রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে উপনির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে দুপুর সোয়া ২টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আগারগাঁও নির্বাচন অফিসে বসে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পান কেন্দ্রর অনেক অনিয়ম যার কারনে উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেন। সিইসি স্বপ্রনোধিত হয়ে এই ভোট বন্ধের সিদ্বান্ত নেন।
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচন উপজেলা মিলে এই আসন।
এর আগে সিইসি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তিনি বলেন, ‘আইন ভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি।’
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তারা হলেন—আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান ছাড়া বাকিরা ভোটে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে দুপুর ১২টার দিকে ভোট বর্জন করেন।
সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।
Leave a Reply