টাঙ্গাইলের সখীপুরে আমিনুল সিকদার কে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ভুল তথ্য প্রদান করে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। ২৮ এপ্রিল সকাল ১০ ঘটিকার সময় আমিনুলের নিজ এলাকায় কাকড়াজান ইউনিয়নের আদানী ভূইয়াদ, কুটুমশাহ মাজারপাড় এলাকায় এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক মেম্বার আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে এলাকার নারী পুরুষ সর্ব শ্রেণীর মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে আগত হেলাল মিয়া বলেন, আমিনুল শিকদার একজন সমাজ সেবক, তিনি এই মাদকের সাথে কোন ভাবেই জড়িত নয়, আমরা জানি আমিনুল শিকদার একজন ভাল মানুষ, সে ষড়যন্ত্রের শিকার। বিল্লাল হোসেন বলেন,আমিনুল শিকদারের মতো ভালো মানুষ কখনোই মাদকের সাথে জড়িত নয়, আমরা তার মুক্তি চাই।আমিনুল শিকদারের গর্ভধারণী মা, বুক চাপড়ে কাদতে কাদতে বলেন আমার ছেলে কোন মাদকের সাথে জড়িত নয় আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে, আমি ছেলেকে ফেরত চাই এই কথা বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। আমিনুল শিকদারের বড় ভাই শাহিন শিকদার বলেন দীর্ঘদিন যাবত আমাদের জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে আমাদের জায়গায় ঘর দিতে গেলে বিভিন্ন বাধা হুমকি ও চাঁদা দাবি করে এ বিষয়ে চাঁদাবাজির একটি মামলা ও ৭ ধারার একটি মামলা দায়ের করা হয় আদালতে। এই বিষয়ের রেশ ধরে আমার মায়ের উপর হামলা হয় যার প্রেক্ষিতে একটি মানববন্ধন করা হয় এ সমস্ত ঝামেলার কারণে আমার ছোট ভাই আমিনুল শিকদারকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন টাঙ্গাইল RAB ১৪ যে অভিজানে এসে আমার ভাইকে গ্রেফতার করে আমরা সে বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের আমাদেরকে বলা হয় আমার ভাই মাদক ব্যবসায়ী এবং আমাদের কে চার থেকে পাঁচ পিস ইয়াবা দেখানো হয় কিন্তু পরবর্তীতে ৭৩ পিস ইয়াবা সহ এক গ্রাম হিরোইন এর মামলা দেওয়া হয় । আমার ভাই নির্দোষ সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আমার ভাইকে মুক্তি দেওয়া হোক। মানব বন্ধনে আসা আরো স্হানীয় এলাকা বাসী আয়নাল, মনির শিকদার, আবুল, মাজেদা, রুবি, পাপিয়া, আমেনা ও সুমি সাথে কথা বলে জানা যায় আমিনুল শিকদার একজন ভাল মানুষ সে একজন সমাজ সেবক। আমিনুল শিকদার সব সময় মাদকের বিরোধিতা করে থাকে যার কারনে তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত চাই, আমরা আমিনুল শিকদারের মুক্তি চাই। RAB কর্তৃক সাক্ষীদের সাথে ফোনে কথা বললে বাঁধন মিয়া জানান আমাকে জোর পূর্বক সাক্ষী মানা হয়েছে আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। আর একসাথে মাখন মিয়া কাছে জানতে চাইলে সে জানায় আমি দোকানের বাহিরে ছিলাম পরে আমাকে একটি পটলা দেখানো হয় সেখানে ৭ থেকে ৮ পিস ইয়াবা হতে পারে কিন্তু কোন হিরোইন দেখানো হয়নি। আমি এ বিষয়ে এতটুকুই জানি। আর এক সাক্ষী আনোয়ার দেওয়ানকে ফোন করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। কাকড়াজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হোসেন বলেন, আমিনুল শিকদার কোন প্রকার মাদকের সাথে জড়িত এমন কথা আমি জানিনা তবে আমার জানা মতে, সে একজন ভাল মানুষ। উল্লেখ্য ২০ এপ্রিল শনিবার বিকেল চারটায় তার নিজের গ্রাম আদানী ভূইয়াদ, কুটুম শাহ মাজারপাড় এলাকায় তার নিজের দোকান থেকে টাঙ্গাইল RAB ১৪ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
Leave a Reply