২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই দিন করে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, এ বছর নতুন কারিকুলামের পাইলটিং হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে। আর আগামী ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হলে দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।
শনিবার বিকেলে এনসিটিবিতে আয়োজিত নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী আগামী বছর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হবে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আজ শনিবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
বিকেলে মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলেন। অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণয়ন করা বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল
ইসলাম, এনসিটিবির চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম ও সদস্য (শিক্ষাক্রম) মো. মশিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাছাই করা ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে। মার্চের শুরুতে বাছাই করা প্রাথমিক স্তরের ১০০ প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণিতে তা শুরু হবে।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিভাগ উঠে যাচ্ছে। সে বছর থেকে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থাকছে না। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষাক্রমের আওতায় আসছে।
শনিবার বিকেলে এনসিটিবি ভবনে নতুন কারিকুলামের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, শুধু জ্ঞান নয়, এর সঙ্গে দক্ষতা অর্জনই হলো নতুন কারিকুলামের উদ্দেশ্য। এখন পাইলটিং চলবে ৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আর অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসছে। সে বছর থেকে নবম শ্রেণিতে সায়েন্স, আর্টস ও কমার্স বিভাগ থাকছে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দেখব নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা দক্ষতাসম্পন্ন হচ্ছে কি না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুযায়ী সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে কি না। আমরা যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাবো, তখন নিজেদের সার্থক মনে করব।
তিনি বলেন, আগের পাঠক্রমে সঠিক গন্তব্যের দিকনির্দেশনা ছিল না। সে নির্দেশনার বাস্তবায়ন করতেই নতুন পাঠক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন পর নতুন একটি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply