ফুটবলের রাজা পেলে আর নেই। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১ টায় তিনি মারা যান । পেলেকে কালো মানিক বলে ডাকতেন। পেলের জম্ন ১৯৪০ সালে ব্রাজিলের এক বস্তিতে।
‘এই পৃথিবী যেমন আছে ঠিক তেমনি রবে / সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে।’ সকলের জন্যই এই অমোঘ সত্যকে বরণ করে নিতে হবে। ঠিক তেমনি ৮২ বসন্ত শেষে সেটি বরণ করে নিলেন কিংবদন্তি পেলে। বারবার বিপক্ষ দলের থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়া পেলে মেনে নিলেন অমোঘ নিয়তিকে। তবে রেখে গেলেন অমর কীর্তি। তার মৃত্যুতে সেদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাতে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮২ বছর বয়সী পেলে। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ক্যানসার আক্রান্ত পেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এ দিকে মৃত্যুর আগে পেলে বলে গিয়েছিলেন, তাঁকে যেন সান্তোসে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানে যেন রাখা হয় কিছু সময়। সে অনুযায়ী, প্রথমে সমাহিতের জন্য মরদেহ প্রস্তুত করা হবে আলবার্ট আইনস্টাইন স্টেডিয়ামে।
পরে মরদেহ আগামী ২ জানুয়ারি সান্তোসের ক্যালডেইরা আরবান স্টেডিয়ামে (ভিলা বেলমিরো নামেও পরিচিত) নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রাখা হবে ব্রাজিল তারকা পেলের মরদেহ। স্টেডিয়াম থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানো শেষে পেলেকে নেওয়া হবে সান্তোসের রাস্তায়। পরে মেমোরিয়া নেকরোপোল একিউমেনিকা নামের সমাধিস্থলে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সমাহিত করা হবে পেলেকে। সে সময়ে পরিবারের লোক ছাড়া আর কারও উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার কালো মানিক খ্যাত পেলে আর নেই। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন গোটা ফুটবল বিশ্ব। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। শোকের ছায়া পড়েছে দেশের ফুটবল অঙ্গন ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে। একজন করে লিজেন্ডরা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ম্যারাডোনার পর চলে গেলেন পেলেও। টানা ৩ বছরে ৩ কিংবদন্তীর বিদায়। দিয়েগো ম্যারাডোনা, গার্ড মুলার, পেলে।
মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন পেলে। অবশেষে ৮২ বছর বয়সে ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ব্রাজিলের সাওপাওলোর একটি হাসপাতালে মারা যান পেলে। বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে পেলেই তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। ১৯৫৮ সালে ব্রাজিল যখন প্রথম বিশ্বকাপ জয় করে, তখন পেলের বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। এরপর ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালেও বিশ্বকাপ জয় করেন তিনি। ২০০০ সালে ফিফার শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন পেলে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী পর পর তিনবার বিশ্বকাপ জিতলে কাপ নিতে পারবে। তাই পেলে পর পর তিনবার বিশ্বকাপ জেতার পর ব্রাজিলের ঘরে কাপ চিরদিনের জন্য চলে যায়। ১৯৭০ সালের পর এই নিয়ম ফিফা বাতিল করেন। বর্তমানের বিশ্বকাপ আর কেহই নিতে পারবেনা।
Leave a Reply