প্রথম আলো পত্রিকা আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু ও দেশের মানুষের শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ ১০ এপ্রিল সোমবার সংসদে সমাপনী বক্তবে বলেছেন, একটি শিশুর মুখ দিয়ে মিথ্যা বলানো, ভাত-মাংসের স্বাধীনতা চাই। একটি সাত বছরের শিশুকে দিয়ে বলানো, তার হাতে দশটা টাকা তুলে দেয়া এবং তার কথা রেকর্ড করে সেটি প্রচার করা স্বনামধন্য এক পত্রিকার নাম প্রথম আলো। কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু।
সোমবার জাতীয় সংসদে সংসদের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ১৪৭ বিধির আওতায় ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
প্রধান মন্ত্রী আরো বলেন আমেরিকা চাইলে যেকোনও দেশের ক্ষমতা উল্টাতে-পাল্টাতে পারে । বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, তারা (আমেরিকা) দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, আবার দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ হয়েই তারা ওকালতি করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এখানে (বাংলাদেশ) এমন একটা সরকার আনতে চাচ্ছে তার গণতান্ত্রিক কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। অগণতান্ত্রিক ধারা। আর সেই ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী, সামান্য কিছু পয়সার লোভে এদের তাবেদারি করে। পদলেহন করে। জাতীয় সংসদে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আনা ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব ও অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যে বড় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত না দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। কথা বলেন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধনী প্রস্তাবের দাবি, জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি খবর নিয়েও। একইসঙ্গে ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’ প্রসঙ্গ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা খুবেই বিচিত্র। আমরা আইয়ুব আমল দেখেছি। ইয়াহিয়া আমল দেখেছি। জিয়ার আমল দেখেছি। জেনারেল এরশাদের আমল দেখেছি। খালেদা জিয়ার আমলও দেখেছি।
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোপজেড়ে সংসদে বলেন, ওয়ান ইলেভেনে প্রথম আলো ও আরেকটি পত্রিকার ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, ২০০৭ সালে যখন ইমার্জেন্সি হয়, তখন তারা উৎফুল্ল। ২টি পত্রিকা। আদাজল খেয়ে নেমে গেল। বাহবা কুড়ালো। আর তার সঙ্গে আছে একজন সুদখোর। বড়ই প্রিয় আমেরিকার। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞাস করে না- যে একটা ব্যাংক, গ্রামীন ব্যাংক। এটা তো একটা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। সরকারের বেতন তুলতো যে এমডি, সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে পেল যে, আমেরিকার মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করে, বিনিয়োগ করে দেশে-বিদেশে। এই অর্থ কোথা থেকে আসে? এটা কী জিজ্ঞাসা করেছে কখনো তারা? জিজ্ঞাসা করেনি। এদের (আমেরিকা) কাছ থেকে দুর্নীতির কথা শুনতে হয়।
Leave a Reply